শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৫ অপরাহ্ন
সানোয়ার হাসান সুনু: আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জগন্নাথপুর ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত সুনামগঞ্জ-৩ নির্বাচনী এলাকায় কে হচ্ছেন নৌকার মাঝি। এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে ভোটারদের মধ্যে ইতি মধ্যে বর্তমান এমপি অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান ও সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী প্রয়াত আব্দুস সামাদ আজাদ তনয় আজিজুস সামাদ ডন আওয়ামীলীগের মনোনয়ন ফরম জমা দিয়ে নৌকার মনোনয়ন নিশ্চিত করতে প্রাণপন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তবে দু-এক দিনের মধ্যে নিশ্চিত হয়ে যাবে কে হচ্ছেন নৌকার মাঝি। এদিকে সামজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে আজিজুস সামাদ ডন কে নৌকার প্রার্থী হিসেবে প্রচার করলে মান্নান বলয়ের নেতা কর্মীদের মধ্যে প্রতিবাদের ঝড় উঠে। এ ব্যপারে আজিজুস সামাদ ডনের বিরুধে¦ নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্গনের অভিযোগ করে উপজেলা সহকারি রিটানিং কর্মকর্তা ইউএনও মাহফুজুল আলম মাছুমের নিকট অভিযোগ পত্র দাখিল করেন উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সাফরুজ ইসলাম। তবে আচরণ বিধি লঙ্গনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আজিজুস সামাদ ডন ও তার সমর্থকরা। এদিকে নির্বাচনী মাঠে নৌকার পক্ষে কোমর বেঁধে নির্বাচনী প্রচারনা ও গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন বর্তমান এম.পি অর্থ পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব এম.এ মান্নান ও সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী আব্দুস সামাদ আজাদের জ্যেষ্ঠ পূত্র আজিজুস সামাদ আজাদ ডন। দু’জনই আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসাবে মাঠপর্যায়ে গণসংযোগ ও মিছিল মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ ব্যাপারে প্রায় ১০ বছর ধরে জাতীয় সংসদে এলাকার প্রতিনিধিত্ব করা অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতি মন্ত্রী আওয়ামীলীগ নেতা এম.এ মান্নানের সাথে আলাপ করলে তিনি জগন্নাথপুর নিউজ ডটকমকে বলেন, দেশ রত্ন প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমি নির্বাচনে প্রার্থী হিসাবে মাঠ পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছি। আমার এলাকায় অনেক বড় বড় উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। এই মেগা প্রকল্প কাজ সমাপ্ত করতে আমি আসন্ন নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ভোটারদের আশা আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটাতে চাই।
এ দিকে আওয়ামীলীগ নেতা আজিজুস সামাদ আজাদ ডনের সাথে আলাপ হলে তিনি বলেন, আমি কেন্দ্রের নির্দেশে নির্বাচনী মাঠে কাজ করে যাচ্ছি এবং ভোটারদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। আমার বাবা জাতীয় নেতা আব্দুস সামাদ আজাদ এ এলাকার উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রেখেছেন। আসন্ন নির্বাচনে ভোটাররা এগুলো স্মরন রেখেই ভোট দিবেন।
উল্লেখ্য ভিআইপি আসন হিসাবে খ্যাত এ নির্বাচনী এলাকা থেকে এর আগে হেভিওয়েট প্রার্থী হিসাবে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্পীকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী, আওয়ামীলীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী আব্দুস সামাদ আজাদ, সাবেক অর্থ প্রতিমন্ত্রী ফারুক রশীদ চৌধুরী সংসদ সদস্য হিসাবে জাতীয় সংসদে একাধিকবার এ এলাকার প্রতিনিধিত্ব করেন। দ্বিধাবিভক্ত আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা পৃথকভাবে উল্লেখিত দুই প্রার্থীকে নিয়ে নির্বাচনী প্রচারনা চালিয়ে যাওয়াতে ভোটারদের মধ্যে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। তাই ভোটারদের প্রশ্ন আসন্ন নির্বাচনে কে হচ্ছেন আওয়ামীলীগের প্রার্থী। এম.এ মান্নান না আজিজুস সামাদ ডন। এ প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে স্থানীয় ভোটারদের মধ্যে। এদিকে সোমবার বিকেলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে বর্তমান এমপি অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম.এ মান্নানকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে।
Leave a Reply